সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলছে, বাতাসে বিষ, প্রতি বছর এক লাখ প্রাণ হারাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় খালেদা জিয়া ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন, চিকিৎসকদের আশাবাদ কুমিল্লায় থানায় নারীর আত্মহত্যা শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু নভেম্বর মাসে দেশের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৮৩ জন মির্জা ফখরুলের ভাষায়: স্বাধীনতার শত্রুরা আবারো মাথাচাড়া দিতে চায় আ.লীগ বিনা শর্তে ক্ষমা চেয়েছিল ১৯৯৬ সালে: জামায়াতের আমিরের বিস্তৃত মন্তব্য নাহিদ ইসলাম: একাত্তর ও চব্বিশের দালালদের বিরুদ্ধে 우리는 একাত্ম তারেক রহমান বললেন, ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরব ইনশাআল্লাহ তারেক রহমানের অনুরোধ: আসবেন না এয়ারপোর্টে বিদায় দিতে
মেসির শেষ ম্যাচে কান্না ও আবেগের ঢেউ

মেসির শেষ ম্যাচে কান্না ও আবেগের ঢেউ

আজকের আর্জেন্টিনা-ভেনেজুয়েলা ম্যাচটি ছিল সত্যিই ‘মেসিময়’। কারণ, দেশের মাঠে এই ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রাণশক্তি লিওনেল মেসি তার জাতীয় জার্সিতে শেষবারের মতো খেললেন। ম্যাচের শুরু থেকেই তিনি আবেগের আবরণে ভরে উঠেছিলেন এবং কখনো কখনো চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। তাঁর দুচোখ বারবার অশ্রুসজল হয়ে উঠছিল।

বাংলাদেশ সময় ভোরে বুয়েনস এইরেসের এস্তাদিও মাস মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচ হিসেবে পরিচিত। খেলার সময় স্বাভাবিকভাবে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত দর্শকদের পাশাপাশি তাঁর পরিবার, স্ত্রী আন্তোনোলা রোকুজ্জো ও তিন সন্তানও এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত উপভোগ করেন। ম্যাচের সময় তিন সন্তানসহ উঠে দাঁড়িয়ে আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ডের সাথে ছবি তুলেছেন। আরও অন্তত একাধিক ছবি দেখা গেছে, যেখানে তিনি জাতীয় সংগীতের সময় নিজের পরিবারসহ উপস্থিত ছিলেন।

অনেক আগে থেকেই জানা ছিল যে, এই ম্যাচটি মেসির জন্য একটি বিশেষ অধ্যায়। ২৮ আগস্ট লিগস কাপের সেমিফাইনালের পরের দিন তিনি বলেছিলেন, যেন শেষের প্রস্তুতি, আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তাঁকে দেখা যাবে। এই ঘোষণা আরও একবার নিশ্চিত করে দেয় যেন এটি মেসির শেষের সূচনা। সাধারণত, ভক্তদের জন্য বড় বিরাট উৎসব থাকলেও আজকের দিনটি যেন ভিন্ন এক আবেগে ভাসছিল। গ্যালারিতে মেসির ফটো এবং বিশ্বকাপ ট্রফির চিত্রশিল্প বড় করে সাজানো হয়। এই ট্রফিটির স্বাদ তিনি ২০২২ সালে পেয়েছেন, যা তাঁর জন্য এক মহা অর্জন।

ম্যাচে তিনি পুরো ৯০ মিনিট মাঠে ছিলেন এবং প্রতিটি বলের জন্যই দর্শকের উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মতো। ‘ওলে, ওলে, ওলে…মেসি, মেসি, মেসি’ এই স্লোগান গ্যালারিতে তখন গ响ে উঠেছিল। তার স্ত্রীর চোখের জলও সহ্য করতে পারেননি, ম্যাচের শেষের দিকে তিনি মুখোমুখি হন রকমের নানা অনুভূতির। শেষ ম্যাচের ঘোষণা দিয়েছেন খেলোয়াড় হিসেবে এটি তাঁর জন্য তার সেই উজ্জ্বল সময়ের বিদায়।

ম্যাচে তিনি দুই গোল করেন, যথাক্রমে ৩৯ ও ৮০ মিনিটে। মধ্যবর্তী সময়ে লাওতারো মার্তিনেজ একটি গোল করলে, একটি সম্ভাবনাও ছিল গোলের। তবে ৮৯ মিনিটে রদ্রিগো দি পলের অ্যাসিস্টে মেসি আরও গোল করেন, কিন্তু অফসাইডের কারণে সেই গোলটি বাতিল হয়।

গেলেও এটি দেশের মাঠে তাঁর শেষ ম্যাচ কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ, আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ভবিষ্যতে জুনে এক প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে, তবে তা এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। ফলে, এই ম্যাচই হয়তো মেসির আর্জেন্টিনার জার্সিতে শেষ দেখা। পরবর্তী ম্যাচটি হবে ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে, যা বাংলাদেশ সময় ১০ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টায় শুরু হবে। এই ম্যাচটি হচ্ছে মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে। বর্তমানে আর্জেন্টিনা ১৭ মুখে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের শীর্ষে অবস্থান করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd